Monday, March 19, 2012

কাগের ঠ্যাং বগের ঠ্যাং

আমার শৈশবের কিছু খাতা বাঁচিয়ে রেখেছেন আমার মা। আমার প্রথম ডায়েরি (হ্যাঁ, বর্ণপরিচয়ের সময় থেকেই আমার ব্যক্তিগত ডায়েরি আছে) ঘাঁটতে গিয়ে আঁকিবুঁকি পেলাম। কাঁচা হাতে কলমে টানা কিছু ঢ্যাঁড়া-ফুটকি-দাগ। ৫ থেকে ৭-এ মধ্যে আঁকা ছবিগুলো। এবং মজার ব্যাপার হলো ছবিগুলো আঁকার পটভূমিও আমার বেশ মনে আছে। আমরা তখন ইরানে থাকতাম। মাঝে একবার দেশে বেড়াতে এসেছিলাম। সময় আর স্থানের এই ছায়া কাঁচা হাতের দাগাদাগিতে কিছুটা হলেও পড়েছিলো।

এই যে আমাদের বসার ঘরের আয়না-

বরফের মধ্যে পড়ে থাকা লক্করঝক্কর গাড়িটা-

সেই বদমাশ বেড়ালটা যে কিনা শুধুমাত্র খাওয়ার সময় হলেই ঘরের দরজায় এসে মিহি সুরে ডাকত-

দেশ থেকে ঘুরে যাওয়ার পরে আঁকা নানাভাইয়ের ছবি-

বউ-জামাইয়ের ছবি যেখানে বরকনেকে ইরানি বিয়ের পোশাকের সাথে বাঙালি অনুষঙ্গে (টিপ, নোলক, চন্দন-ফোঁটা, টোপর) সাজিয়ে দিয়েছি-

পুতুল নিয়ে বান্ধবীর সাথে মান-অভিমান-

২২ জুন ১৯৯০-এর ভয়াল ভূমিকম্পের পর বুড়োদের মুখে শুনেছিলাম আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূমিকম্প হয়। তখনকার ছবি-

এইটা আমি। খেলনা চশমা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছি-

এটা দেশে ফেরার পরে আঁকা। দেশি রোদ-বৃষ্টি-মেঘ আর ইরানি চিমনিওয়ালা বাড়ি। বাড়ির ছাদে অ্যান্টেনা, যেমনটা আমাদের ছিলো।

2 comments: